আমাদের সম্পর্কে

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ। আলহামদুলিল্লাহ ওয়াসস্বলাতু ওয়াসসালামু আলা রসুলিল্লাহ, ওয়া ‘আলা আলিহী ওয়া আসহাবিহী আজমাঈন।
আজ যারা কচিকাঁচা আগামীতে তারাই জাতির কর্ণধার। সন্তান আমাদের জন্য আখিরাতের পুঁজি,সাদকায়ে জারিয়াহ একইভাবে পরীক্ষাও। আল্লাহর ঘোষণা,”তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান সন্ততি ফিতনা(পরীক্ষাস্বরূপ)”। সন্তানকে দ্বীনশিক্ষা করানো প্রতিটি বাবা-মায়ের উপর ফরজ কেননা তারা আমাদের নিকট আল্লাহর আমানত।দ্বীনের ইলম একজন মানুষের ব্যক্তিত্ব গঠন ও সঠিক মূল্যবোধ তৈরিতে ভূমিকা পালন করে। প্রকৃত সফলতা তো কেবল।আল্লাহর চোখে সফল হওয়াই।রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের হুশিয়ারি দিয়েছেন,”প্রত্যেকে তার অধীনস্থদের ব্যাপারে জিজ্ঞাসিত হবে”।সুতরাং আমাদের অধীনস্থ সন্তানকে প্রকৃত সফল করতে প্রকৃত ইসলাম শিখানো অপরিহার্য। কিন্তু পশ্চিমা সভ্যতার ভয়াল থাবা,স্রোতের মতো ধেয়ে আসা ফিতনার কঠিন যুগে কচিপ্রাণেরা আজ ভয়াবহ বিপদের মুখে।এরই পরিপ্রেক্ষিতে বাচ্চাদের ব্যাপারে আপনাদের ফিকিরের কিছুটা গতিবিধি নির্ধারণ করে ও সাদাকায়ে জারিয়ায় নিজেদের কিছুটা অংশ পেতে আইওএম আয়োজন করেছে স্কুলমক্তব। পচাগলা শিক্ষাব্যবস্থার দাবদাহ থেকে আড়ালে শিশুশুভ্র অন্তরগুলোতে প্রশান্তির ছোয়া হিসেবে নব্য ঈমানী বীজ বপন করতে আপনাদের সাথে আছি আইওএম স্কুল মক্তব।

স্কুল মক্তবের উদ্দেশ্য

ইসলামের ইতিহাসের প্রথম মক্তবের সূচনা হয় শেষ নবী হজরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাত ধরে। তিনিই ছিলেন প্রথম শিক্ষক। মক্তবে কোরআন ও হাদিসের পাঠদানের পাশাপাশি ইবাদত-বন্দেগি, অজু, গোসল, নামাজ, রোজাসহ বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া হতো।নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা তোমাদের সন্তানদের মহৎ করে গড়ে তোলো এবং তাদের উত্তম আদব তথা শিষ্টাচার শিক্ষা দাও।’ (মুসলিম
বাংলাদেশে মোট শিক্ষার্থীর প্রায় ৯৮ শতাংশ জেনারেল শিক্ষায় শিক্ষিত, যা সংখ্যায় প্রায় ৪ কোটি ৷ অন্যদিকে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর সংখ্যা মাত্র ২ শতাংশ ৷ আলহামদুলিল্লাহ! এই ২ শতাংশের জন্য হাজারো প্রতিষ্ঠান এবং উলামায় কেরাম দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন ৷ কিন্তু কোনোদিন মাদ্রাসা বা মক্তবে পা না রাখা সেই ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠীকে নিয়ে কাজ করার মতো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের আজ বড়ই অভাব৷ এত বিশাল জনগোষ্ঠীর কাছে দ্বীনের আলো ছড়াতে প্রয়োজন লক্ষ লক্ষ মানুষ ৷ এদিকে মক্তবের জন্য সুন্দর ও যুগোপযোগী সিলেবাসও অপ্রতুল ৷ অথচ এর প্রভাব ভয়াবহ।
শৈশবে শিশুর মন-মস্তিষ্ক থাকে সম্পূর্ণ স্বচ্ছ ও নিষ্কলুষ। এ সময়ে শিশুরা যা শোনে, যা শেখে সবই তার কচি মনে রেখাপাত করে। তার স্মৃতিতে স্থায়ীত্ব লাভ করে। শৈশবকালই হচ্ছে একটি শিশুর ঈমান-আমল শিক্ষাদানের উপযুক্ত সময়।
তাই এই সময়ে ছোটদের জন্য দ্বীন শিক্ষা সহজ করা এখন অত্যন্ত জরুরি৷ সেই অপরিহার্য দায়িত্ববোধ থেকেই শিশুমনে ইসলামের বীজ বপনে আমাদের এই ছোট্ট প্রয়াস।
২ দশক আগেও সকালে মক্তবে যাওয়ার মাধ্যমে বাচ্চাদের দিন শুরু হতো, যা বর্তমানে দেখা যায় না বললেই চলে। অনেক বাচ্চারা এখন মক্তব সম্পর্কে জানেই না। বর্তমান প্রেক্ষাপটে আল্লাহ তা’আলা অনলাইনের মাধ্যমে আমাদের এই সুযোগ দিয়েছেন তাই আমাদের উচিত এর পরিপূর্ণ ফায়দা হাসিল করা।
স্কুল মক্তবে দ্বীন ইসলামের প্রাথমিক শিক্ষা দেওয়া হয়।প্রথমিক শিক্ষা ব্যবহারিক জীবনে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। স্কুল মক্তবে কুরআন -হাদিস, দুয়া-সুন্নাহ, আদব-কায়দা, শিষ্টাচার, সভ্যতা, ভদ্রতা, সৌজন্যতা, নম্রতা বড়দের শ্রদ্ধা ও ছোটদের স্নেহ করার শিক্ষা দেওয়া হয়। তাছাড়া হালাল-হারাম, পাক-পবিত্রতাসহ প্রয়োজনীয় বিষয়াদি সম্পর্কে জীবনঘনিষ্ঠ শিক্ষা খুব সহজে এবং সুন্দর ও যুগোপযোগী সিলেবাসের মাধ্যেমে দেওয়া হয় আলহামদুলিল্লাহ।শৈশব থেকেই আমাদের সন্তানদের দ্বীনী শিক্ষার যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা, তাকে আমল-ইবাদতের প্রতি উৎসাহিত করা এবং নেক তরবিয়ত নিশ্চিত করাই স্কুল মক্তবের উদ্দেশ্য।